রাজ রোস্তম আলী স্টাফ রিপোর্টার সাভার ঢাকাঃ থিম পার্ক খ্যাত বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র সাভারের আশুলিয়ায় ‘নন্দন পার্কের’ চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরিচালক বেলাল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন পার্কটির অংশীদাররা। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদকে মৌখিক শেয়ার দিয়ে বেলাল হক নানা ধরনের সুবিধা নিতেন বলে দাবি করেছেন অংশীদার সিরাজুল ইসলাম।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ বিনোদন কেন্দ্রের শেয়ার দখলের অভিযোগও করেন তিনি।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়ার নন্দন পার্কে একটি কালো ব্যাগের সন্ধানে অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ব্যাগটি থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকার আই প্যাডসহ কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতারণার মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও নন্দন পার্কের পরিচালক বেলাল হককে গ্রেপ্তার করে পর দিন আদালতে পাঠায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের আগে একটি কালো ব্যাগ পার্কের ভেতরে রেখে আসেন বেলাল হক। সে ব্যাগের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
এ সময় নন্দন পার্কে গিয়ে পার্কটির অংশীদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, বেলাল হক সাবেক ডিবি প্রধান হারুনকে মৌখিকভাবে ২০ শতাংশ শেয়ার দিয়ে তার মাধ্যমে আমাদের ভয় দেখাতেন। গত ৭ বছর ধরে আমাদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ প্রদান করেনি। এছাড়া অবৈধভাবে শেয়ার দখল করে রেখেছেন তিনি।
তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদে ১২ জন শেয়ারহোল্ডার থাকলেও তিনি মনগড়া পার্কটি পরিচালনা করতেন। তিনি পার্কটি থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া কর্মচারীদের বেতনভাতাও ঠিকঠাক দেতেন না তিনি। তিনি কৌশলে আমাদের শেয়ার দখলের চেষ্টাও করেছেন। এখন আমরা দ্রুত সব শেয়ারহোল্ডার নিয়ে বসে মিটিং করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা চাই পার্কটি নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হোক।
এদিকে বিকেলে পার্কটির সামনে পরিচালক বেলাল হকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন শ্রমিক কর্মচারীরা। শ্রমিকদের অভিযোগ গত ৭ বছর ধরে ঠিকমতো বেতন প্রদান করেননি গ্রেপ্তার হওয়া পরিচালক বেলাল হক। এছাড়া নিয়মিত ডিউটি না দিয়ে বেতন থেকে টাকা কেটে নিতেন তিনি। কোনো ধরনের ইনক্রিমেন্টও দেননি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শনিবার বিকেলে নন্দন পার্কের ভেতরে একটি কাল ব্যাগের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনির সদস্যরা। এ সময় ব্যাগটি উদ্ধার করে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়৷ বেলাল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রাথমিকভাবে সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।