এস, এম, মাসুদুর রহমান, ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা বাজারে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মঞ্জরুল হকের দোকান ভেঙে দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দোকান ভেঙ্গে পাশের দোকানের সাথে একত্রিত করে দখলে নেয় বোয়ালমারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমান মিয়া ও তার ভাই মানিক মিয়ারা। এসময় বাজারে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার সকালে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা বাজারের মঞ্জরুল হক সরকারি পেরিফেরী ভুক্ত ১/১ খতিয়ানের জায়গা থেকে আধা শতাংশ জায়গা ডিসিআর মুলে দোকনে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মঞ্জরুল হক অভিযোগ করে জানান, গত ২০ এপ্রিল বোয়ালমারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমান মিয়া প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গাসহ দোকানটি দখলে নিতে তালা লাগিয়ে দেয়। সে সময় বিষয়টি থানায় অভিযোগ জানালে ততকালিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ কে সমাধান করতে বাঁধা দেয়। পটপরিবর্তনের পরেও অপর একটির চক্রের দ্বারা প্রভাব খাটিয়ে দোকান ঘরটি দখলের করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে দোকান ঘর ভেঙ্গে দখল নেওয়ার অভিযোগ অস্বিকার করে বোয়ালমারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমান মিয়ার ভাই মানিক মিয়া জানান, আমাদের পূর্বপুরুষের জায়গাটি খাস খতিয়াতে চলে গেছে এবিষয়ে মামলা চলমান। কিন্তু মঞ্জরুল হকের অভিযোগের পেক্ষিতে সালিশদারগণ কাগজ পত্র দেখে দোকান ঘরটি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।
বুড়াইচ ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পান্নু মিয়া জানান, বিষয়টা থানায় অভিযোগ ছিল। পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার আশ্বাসে আলফাডাঙ্গা বিএনপি কার্যালয়ে বসে উভয় পক্ষের জমির কাগজপত্র দেখা হয়। তারপর জমি মাপ দিয়ে দুইজনকে বুঝিয়ে দেয়। সালিশে আলফাডাঙ্গা বিএনপির বিভিন্ন নেতা উপস্থিত থেকে সালিশ করে দিয়েছে। সেখানে আমিও ছিলাম। এই বিষয়ে সালিশদ্বারগণ কাগজপত্র দেখে একটা রায় দেয়।
এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকর্তা(ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, হেলেঞ্চা বাজারের দোকান দখল নেওয়া মঞ্জরুল হক ও ইমান গং দের সাথে দীর্র্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এবিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। সেসময় দুই পক্ষে সম্মতিতে স্থানীয় ভাবে বিষয়টা মিমাংশা করার জন্য অনুরোধ করে। গত ১৯ অক্টোবর শনিবার সালিশকারীরা মঞ্জরুলের বিপক্ষে রায় ঘোষনা করে। এই অবস্থায় বিপক্ষের লোকজন দোকান ঘর বুঝে নিতে গেলে বাজারে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি। দোকানে একপাশের সব টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে দখলে নিয়েছে। সেসময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে সবাই পালিয়ে যায়।
দোকান দখল ও ভাঙ্গার বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা চলমান বলেও জানান তিনি।