বনভূমি জবর দখল ও বন ভূমি কেন্দ্রীক চাঁদাবাজীর সংবাদ প্রকাশ করায় জনতার নিঃশ্বাস পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হাফিজুর রহমানের উপর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা করে তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও পেন ড্রাইভ ছিনিয়ে নেয় বন ভূমিদস্যুরা। সোমবার(১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুর সদরের নয়াপাড়া এলাকায় তার উপর এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
এই বিষয়ে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,প্রতিদিনের মতোই সোমবার হোতাপাড়ায় অবস্থিত গাজীপুর সদর প্রেসক্লাবে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। পরে উত্তর নয়াপাড়া এলাকায় মন্দিরের কাছে গেলে স্থানীয় আব্দুর রহিম,আব্দুল হালিম নয়ন,ইউনূস ড্রাইভার, সাইফুল ইসলাম ড্রয়িং, স্বপন, জুনায়েত, জিসান সহ আরো লোকজন মিলে তাকে পথে গতিরোধ করেন। এর আগে সাংবাদিক হাফিজুর রহমান তার পত্রিকায় অভিযুক্তদের নামে বন ভূমিদস্যুতা ও বন ভূমি কেন্দ্রীক চাঁদাবাজীর একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই শত্রুতা পোষণ করে তারা সাংবাদিক হাফিজুর রহমান কে পিটিয়ে তার কাছে থাকা বিভিন্ন ডকুমেন্টস সহ ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে মারধোর করতে থাকলে লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এবিষয়ে সাংবাদিক হাফিজুর রহমান বলেন,তারা কিছু মাদক কারবারি আর এলাকার চিহ্নিত বন ভূমিদস্যুরা মিলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে বনের গাছ কেটে বন দখল করছে। ইতিমধ্যে তারা সশস্ত্র কয়েকজন মিলে ভূমিহীন সমিতির নামে গড়ে তুলেছেন চাঁদাবাজী সংগঠন। নতুন করে ঘর নির্মাণ করলে তাদের দিতে হয় রুম প্রতি ৫/১০ হাজার টাকা। কেউ না দিলে তাদের বাড়িতে ঢুকেও পেটানোর অভিযোগ রয়েছে থানায়। তারা সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সামনেই একজনকে পিটিয়েছেন। এসব বিষয়ে আমার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় তারা আমার উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে আমার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস সহ ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়। এখন আমি আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। এই সরকারের আমলেও যদি গণমাধ্যম স্বাধীন হতে না পারে তবে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না। এই প্রসঙ্গে জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি,গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।