পুত্রবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন, শাশুড়ির দায় স্বীকার
শাশুড়ির হাতে খুন হয়েছেন পুত্রবধূ। সেই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ঘাতক শাশুড়ি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরে ঘটনাটি ঘটে।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ বেড হাসপাতালে পাঠায়।
জানা যায়, কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামে মো. হাবিবুর রহমান শিকদারের মেয়ে সাবিকুন নাহার পপি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স পাস করেন। ওই বছরেই তাকে খুলনা জেলার রূপসা থানার দিয়ারা গ্রামের মো. মোকবুল হোসেনের ছেলে মো. রায়হান পারভেজের সঙ্গে (২০২৩ সালের ১০ মার্চ ) ধুমধাম করে বিবাহ দেওয়া হয়।
মো. রায়হান পারভেজ স্কয়ার কম্পানির ওষুধ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। চাকরির সুবাদে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আসমা জুয়েলার্সের মালিক মো. আব্দুল মজিদের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
ওই ভাড়া বাসায় মঙ্গলবার ভোরে শাশুড়ি পুত্রবধূ পপিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত পপির মরদেহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী রায়হান পারভেজ, শাশুড়ি লিপি বেগম গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে পপির বাবার বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারা উপস্থিত সবাইকে জানান, পপি ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন।
লাশের শরীরে কয়েকটি ক্ষত চিহ্ন দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. আন্জুরুল ইসলাম এবং আশপাশের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে পপির শাশুড়ি বলেন, ‘তার পুত্রবধূর বিভিন্ন অসুখ আছে।
অনেক টাকা খরচ হবে, তাই আমি তাকে রাত সাড়ে ১২টায় ঘুমের ওষুধ খাওয়াই। ভোররাতেই তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করি এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করি।’
নিহতের বাবা মো. হাবিবুর রহমান শিকদার কাশিয়ানী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, নিহতের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।