নেত্রকোনা নেত্রকোণায় উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে বেড়েছে নদ-নদীর পানি, এতে করে নেত্রকোণার দূর্গাপুরের প্রায় ১৫টি গ্রামে লোকালয়ে পানিতে আটকে প্রায় বিশ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নেত্রকোণার জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো)। অতি ভারি বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে জেলার দুর্গাপুরের তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রামের লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টি আর উজানের ঢলের পানিতে জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়ে চলেছে। সোমেশ্বরী নদীর দুর্গাপুর পয়েন্টে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার বিকাল ৩টা নাগাদ ২১ ঘন্টায় দুই দশমিক ৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বর্তমানে নদীটির পানি বিপৎসীমার শূণ্য দশমমিক ৭৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। নদীটিতে গড়ে ঘন্টায় প্রায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। কংশ নদের পানিও বন্যার শংকা জাগিয়ে বেড়েছে সমানতালে। নদের পানি জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে শনিবার বিকাল ৩টা নাগাদ ২১ ঘন্টায় বেড়েছে এক দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ।
বর্তমানে সেখানে বিপৎসীমার শূণ্য দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ধনু নদের পানি সামান্য বেড়েছে। খালিয়াজুরী পয়েন্টে নদের পানি একই সময়ে বেড়েছে ৫ সেন্টিমিটার। সেখানে পানি বিপৎসীমার দুই দশমিক শূণ্য তিন সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। শনিবার বিকালে দুর্গাপুরে পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসক কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন্ গ্রাম পরিদর্শথন করেন। পরে তিনি ইউনিয়নটির রামবাড়ি গ্রামে শতাধিক মানুষের মাঝে শুকনো খাবার,চাল,পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, প্লাবিত এলাকার দুর্ভোগে মধ্যে থাকা মানুষের পাশে প্রশাসন আছে। তাদের খাদ্য সরবরাহ থেকে সব ধরণের সহায়তা দেয়া শুরু করেছে প্রশাসন।