মিজানুর রহমান নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের নগরকান্দায় এমএ শাকুর মহিলা কলেজের এর প্রভাষক ফরহাদ হোসেনের অপসারণ চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন, উপজেলার মনোহরপুর গ্রামবাসী। লিখিত অভিযোগে গ্রামবাসী জানান,, আমাদের গ্রামে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম এ শাকুর মহিলা কলেজ, মনোহরপুর দাখিল মাদ্রাসা, মনোহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। কলেজটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ভালো সুনামের সাথে চলে আসছে, এলাকার গরীব দিন মজুর ভ্যান চালক এদের মেয়েরাই বেশী লেখাপড়া করে, তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না ফরিদপুর গিয়ে লেখাপড়া করবে, বাধ্য হয়েই ঝড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এই কলেজটি প্রতিষ্ঠাতা করেন ড. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম যাকে নগরকান্দা উপজেলার আইডল বলা হয়। মনোহরপুর গ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে ড. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এর অবদান অনেক। প্রভাষক ফরহাদ হোসেন খান কলেজটি বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে তারই অংশ হিসাবে মাঝে মাঝে একেকটা কান্ড করে চলেছে। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে এম এ শাকুর মহিলা কলেজের প্রভাষক জনাব ফরহাদ হোসেন খান দ্বারা কলেজ ছাত্রীবৃন্দ যৌন হয়রানিসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর আগেও প্রভাষক জনাব ফরহাদ হোসেন খান এর নামে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিনিয়ত ছাত্রীরা, প্রভাষক ও কর্মচারীবৃন্দ তার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কলেজের পরিবেশ ও আমাদের গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য জনাব ফরহাদ হোসেন খান কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া দত্ত ও প্রভাষক অমিতাভ সাহার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ও মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে কুটক্তি করেছে বলে অপপ্রচার করেন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের নামেও এই প্রভাষক ফরহাদ হোসেন খান বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমরা জেনেছি ও শুনেছি এই দুজন প্রভাষকদের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। আমাদের জানা মতে অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া দত্ত ও প্রভাষক অমিতাভ সাহা খুব ভাল মনের মানুষ। এই মিথ্যা তথ্যের ব্যাপারে আমরা নিজেরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছি। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন টাকা পয়সা ছাত্রীদের কাছ থেকে নেয়নি ও ধর্মীয় আলোচনা ছাড়া অন্য কিছু করেনি এ ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। এ ধরনের শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকি স্বরুপ। আমরা গ্রামবাসী জনাব ফরহাদ হোসেন খান এর অপসারনসহ দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। অভিযুক্ত শিক্ষক ফরহাদ হোসেন খান জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, আমাকে সামাজিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি, আজ মনোহরপুর গ্রামবাসী আরও একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা দ্রুতই তদন্ত কমিটি গঠন করবো, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। More