মিজানুর রহমান নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। দফায় দফায় হামলা চালিয়ে প্রায় ২০টি বসতবাড়ি ও ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। বুধবার সকালে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্যকাই চাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি ইব্রাহিম মিয়ার সমর্থক ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের সামর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতাল, ভাঙ্গা উপজেলা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা বাজারে আমার সমর্থক ও জিন্নাহ সরদারের সমর্থকের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
কিছুক্ষণ পর জিন্নাহ সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসা বাজারের আমাদের প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় আমাদের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। এতে দু দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তখন এলাকা অবস্থা স্বাভাবিক হয়। পরেরদিন বুধবার সকালে আবারো জিন্নাহ সরদারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আমাদের লোকজন পাল্টা হামলা চালালে জিন্নাহ সরদারের লোকজন পালিয়ে যায়। তখন উত্তেজিত লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে তবে কোন লুটপাট হয়নি। কৃষক লীগের সভাপতিজিন্নাহ সরদার বলেন, আমি আমার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিম মিয়ার লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়ির সহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং লুটপাট করে নেয়। থানার অফিসার ইনচার্জ সফর আলী বলেন সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এপর্যন্ত কোন পক্ষ মামলা করতে থানায় আসেনি।