রাজ রোস্তম আলী স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা : ঢাকা সাভারে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। সেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে লাল-সবুজে সেজেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ আগামীকাল ৫৩তম মহান বিজয় দিবস। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এদিন বিজয় অর্জন করে স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালি জাতি স্থায়ীভাবে পায় তার লাল-সবুজের পতাকা। শত শত সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ ও হাজার হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয় নিশান ওড়ে বাঙলার বুকে। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে লাল-সবুজের আভায়। আগামীকাল সকাল থেকে জাতির বীর সন্তাদের শ্রদ্ধা জানাতে এখানে নামবে হাজারো মানুষের ঢল। শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রং তুলির আঁচড় ও বাহারি ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছের সমন্বয়ে প্রাঙ্গণ জুড়ে তৈরি করা হয়েছে লাল-সবুজের দারুণ এক আবহ। এছাড়া লেক সংস্কার ও স্মৃতিসৌধের পাদদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিচ্ছন্নতাকর্মী আমেনা বলেন, আমি এখানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করি। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এখন বিশেষ পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম বলেন, স্মৃতিসৌধে ধোয়া-মোছার কাজ প্রায় শেষ। কিছু স্থানে প্লাস্টারের কাজ করেছি এবং ভাঙা স্থান সংস্কার করা হয়েছে। এখন কাজ অনেকটাই শেষ হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামন্ডলী, বিদেশি কূটনীতিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রথমে বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সর্ব সাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, লেক সংস্কার, সীমানা প্রাচীর মেরামতসহ সব কাজ সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে জাতীয় স্মৃতিসৌধ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম আওলাদ হোসেন বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধ ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজর রাখবে। এ বছর ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে।