রাজ রোস্তম আলী স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা : ঢাকা সাভারে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী আমিনুল ইসলাম আমিন রাজধানীর অদূরে আমিনবাজার এলাকায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সাড়ে ১২ শতক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে বাহাউদ্দিন বাহার নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। বাহার সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। বাহারের শ্বশুর একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তারা শ্বশুর-জামাই মিলে আমিনুল ইসলাম আমিন নামে এক ব্যক্তির জমি দখলের পাশাপাশি তাকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে বাড়ি ছাড়া করেছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম আমিন। তিনি ও তার ভাই এবং আরেকজন মিলে তারা সাড়ে ১২ শতাংশ জমির মালিক। তিনি এই জমি তার পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে পেয়েছেন বলে দাবি করেন।
আমিনুল ইসলাম আমিন অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতা বাহাউদ্দিন বাহার হঠাৎ করে জমি দখলে নেন এবং তার জমিসহ সাড়ে ১২ শতাংশ জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন। বিষয়টি প্রশাসনের অনেককে জানালেও তারা কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ও আমার বড় ভাই পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে সাড়ে ১২ শতাংশ জমির মালিক। দীর্ঘদিন ধরে জমিটি ভোগ দখল করে খাচ্ছি। কিন্তু সেই জমির পাশে একই দাগে আনোয়ার হোসেন নামে এক জনের সাথে মামলা চলছিল। এরই মধ্যে বাহাউদ্দিন বাহার জমি ক্রয় করেন। তারপর জোর জবরদস্তি করে জমি দখল করার চেষ্টা করেন। গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার আওয়ামী লীগ নেতা শ্বশুরের পরিচয় ভাঙিয়ে জমি দখল করতে আসেন। তার শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন ডালিম আমিন বাজার ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে তখন দখল করতে পারেননি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট দেশের অবস্থা পরিবর্তন হলে জমিটি দখলও করেন। তিনি আমার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করেছেন বাহাউদ্দিন বাহার। যাতে আমি কোন বাধা দিতে না পারি। তার শ্বশুর আমাকে বিগত সরকারের সময় জামায়াত ও বিএনপি নেতা বানিয়েছে। এখন আবার আমার নামে মামলা করেছে। বাহার এবার বিএনপি পরিচয়ে জমি দখল করেছেন। তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে তিনি বলেন, এই বাহাউদ্দিন বাহারের বিষয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ তিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে ভাকুর্তা ইউনিয়নে অনেকের জমি দখল করেছেন এবং অনেকের নামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করেছেন। এখনই যদি তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে বিএনপির সুনাম নষ্ট হবে, দলের অনেক ক্ষতি হবে। এদের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমিনুল ইসলাম আমিন ও তার পরিবার প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।