গোপালগঞ্জে উত্তেজিত জনতা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।এ ঘটনায় ৪ সেনাসদস্য, সংবাদকর্মি ও স্থানীয় মোট ১৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে এর মধ্যে ২জন গুলিবিদ্ধ রয়েছে।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর বাস স্ট্যান্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মি ও গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় বিক্ষোভকারী জনগনকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এসব জনতা। তারা সেনাবাহিনীর উপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণ করলে স্থানীয় জনতা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাংচুর করে এবং এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে গোপীনাথপুর গ্রামের এক ব্যাক্তি দৈনিক পর্যবেক্ষণ’কে বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ বিভিণ্ন দাবী নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। এসময় সেনাবাহিনীর দুইটি গাড়ী থেকে সেনা সদস্যরা নেমেই আমাদের সড়ক পরিস্কার করতে বলেন। এসময় উত্তেজিত জনতার সাথে কথাকাটাকাটি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া , ইট পাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সেনা সদস্যরা গুলি করলে এক শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ আহত হয়। তারা স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারেরর কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের লেঃ কর্নেল মাকসুদুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ৩/৪ হাজার জনতা সদর উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করলে তাদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলা হয়। জনগন উত্তেজিত হয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাংচুর সহ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়।এতে ৪ সেনা সদস্যআহত হয়েছে।
উল্লেখ্য শান্ত গোপালগঞ্জ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।গত কয়েক দিন ধরে জেলার কোথাও না কোথাও শেখ হাসিনার পক্ষে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মি বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে।