গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও রাতে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে তিনজনকে ও শহরের গেটপাড়া থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম মাহমুদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মিনা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তৌফিকুর রহমান ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রুহুল তালুকদার।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে তিনজনকে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। বিকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়। পরে নিহতের লাশ ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ঢালে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরো বলেন, শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় চারজরকে গ্রেফতার করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।