মাহাবুব সুলতান, স্টাফ রিপোর্টার: মহানবী হযরত (স:) কে নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্রে এক পুরোহিত কটূক্তি করেছেন উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মানববন্ধন করেছে ওলামা ও আইম্মা পরিষদ। সেখান থেকে অনতিবিলম্বে ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর জোর দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার দাবিও করেছে ওলামা ও আইম্মা পরিষদ।
সোমবার (৩০সেপ্টেম্বর) কোটালীপাড়া উপজেলা চত্বরে সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনর ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে এই দাবি জানান তারা।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা কবিরুল ইসলাম মুহতামিম গোপালপুর মাদ্রাসা
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ তার বক্তব্যে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেছেন এবং বিজেপি সাংসদ নিতেশ রানে তার সমর্থন করে ভারতসহ এই অঞ্চলে বিদ্বেষ ছড়িয়েছে।
তাদের দাবি, এতে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের জানমাল নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে এবং বিশ্ব মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করেছে। ওলামা পরিষদ এমন সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
রামগিরি মহারাজ ও ভারতের সংসদ সদস্য নিতেশ রানের গ্রেফতার দাবি করেছেন তারা। বক্তারা দাবি করেন, ভারত বিশ্ব দরবারে একটি সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। অথচ তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক বিষয়ে বারবার অবৈধ হস্তক্ষেপ করে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে চায়।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মুফতি হাফিজুর রহমান, মুফতি মুরতাজা হাসান, মাওলানা মুফতি মাসুদুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা বসির আহমেদ, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা। আলম প্রমুখ।
এ সময় সমাবেশ শেষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি কোটাউলীপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রদান করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর আক্তার উপস্থিত না থাকায় তার গোপনীয় সহকারী রোমান শেখ স্মারক লিপি টি গ্রহণ করেন।
সবশেষে সভাপতি মাওলানা কবিরুল ইসলাম মোনাজাতের মাধ্যমে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ করেন ।