গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের জোতকুরা গ্রাম থেকে এদের আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা হলো, ঢাকার সূত্রাপুরের ইকবাল আহম্মেদ খানের ছেলে মো. আরিফ হোসেন খান (৩২), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার হাওড়া গ্রামের তাইজুল ইসলামের ছেলে মো. মাসুদ রানা (৩০), রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার রামদিয়া গ্রামের সুরুজ মোল্লার ছেলে মো. লিটন মোল্লা (৩৮), ঠাকুরগাও জেলার রানীসংকৈল থানার কদমপুর গ্রামের মো. আলম হোসেনের ছেলে মো. কাজল ইসলাম (৩০), দিনাজপুরের বিরল থানার টেগরা মোকলেছুর গ্রামে নজরুল ইসলামের ছেলে মো. ফারুক হোসেন (২৬) ও গোপালগঞ্জ সদর থানার ভোজেরগাতী গ্রামের লোকমান সরদারের ছেলে মো. মামুন সরদার (৩০)।
ওসি মো. জিল্লুর রহমান আরো জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের জোতকুরা গ্রামে একটি হাইএক্স মাইক্রোবাসে করে ০৮ ডাকাত প্রবেশ করে। এসময় গাড়িটি মধ্যপাড়ার মজিবর মোল্লার বাড়ির কাছে গেলে স্থানীয়রা তাদের থামার জন্য সিগনাল দিলে দ্রুত ঘুরিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এসময় গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে চারিদিক ঘিরে ফেললে ডাকাত দলের দুই ডাকাত পালিয়ে গেলেও গাড়ীসহ ৬ ডাকাত মো. আরিফ হোসেন খান, মো. মাসুদ রানা, মো. লিটন মোল্লা, মো. কাজল ইসলাম, মো. ফারুক হোসেন ও মো. মামুন সরদারকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে আটককৃত ডাকাতরা গ্রামবাসীকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করে। এসময় গ্রামবাসী ওই ডাকাতদের আটক করে কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন কে খবর দেয়। পরে কাশিয়ানী থানা পুলিশ এবং রামদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোবাসসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একসেট সাব ইন্সপেক্টর পুলিশের পোশাক, একসেট হ্যান্ড কাপ, পিস্তলের কভার, রিফ্লেক্টিং ভেস্ট একটা, ডুপলিকেট পুলিশ আইডি কার্ড দুইটি, একটি পুলিশ বেল্ট ও গাড়ীতে পুলিশের স্টিকার জব্দ করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আজ শুক্রবার আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান পরিস্থিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়রা রাত জেগে নিজেরা পাহারা জোরদার করেছে।