স্টার্ফ রিপোর্টারঃ শেখ মোঃ ইমরান: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে প্রাক-নির্বাচনী-২০২৪ (টেস্ট পরিক্ষার) পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং প্রকাশ্যে হাজার টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিরুদ্ধে।
উপজেলাধীন রাজপাট বহুমুখি উচ্চা বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোঃ আনিচুর রহমানে বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
গোপন তথ্য সূত্রে জানাজায়, কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের জৈন্যক পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এলাকার প্রভাবশালী মোঃ ফজলুর রহমান ওরফে ফজলা মেম্বরের ছেলে মোঃ আনিচুর রহমান এলাকার প্রভাব ব্যবহার করে রাজপাট বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাবে নিয়োগ পায়। সে চলতি বছরের এসএসসি পরিক্ষার জন্য প্রাক-নির্বাচনী পরিক্ষার-২০২৪(চেস্ট পরিক্ষার) ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মী চারজন পরিক্ষার্থীর কাছে চার হাজার টাকায় ওই প্রশ্ন বিক্রি করে।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা বিয়ষটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রশ্ন ফাঁসে বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ তড়িৎ গতিতে আলোচনায় বসেন এবং প্রশ্ন ফাঁসে বিষয়টি গোপন রাখতে অভিযুক্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাছ থেকে লিখিত স্বীকারুক্তির মুচেলিকা (আন্ডরটেকেন) নেন এবং ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মী'কে আল্টিমেটাম দেন।
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ'কে জানান হয়েছে কী না জানতে চাইলে, রাজপাট বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক অনাদি রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি। স্কুল শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ আলোচন সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিচ্ছন্নতা কর্মী আনিচুরের কাছ থেকে একটি স্বাক্ষরযুক্ত মুচলেকা রাখা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ'কে জাননো উচিৎ ছিলো কী না প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক বলেন, বিষয়টি যেহেতু প্রশ্ন ফাঁসের সেহেতু জানানো উচিৎ ছিলো বলেও জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক অনাদি রঞ্জন বিশ্বাস আরো বলেন, প্রশ্ন গুলো সহকারী প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র সমাজদার স্যারের হেফাজতে ছিলো। সেখান থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোঃ আনিচুর রহমান কী ভাবে প্রশ্ন পত্র পেলেন এ বিষয়ে একনও নিশ্চিত হতে পারেনি স্কুল কতৃপক্ষ।
প্রশ্ন পত্র ফাঁসের বিষয়েটি অভিযুক্ত মোঃ আনিচুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি সকলের সামনেই প্রশ্ন ফাঁস এবং বিক্রির বিষয় সত্যতা স্বীকার করে।
এ বিষয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র সমাজদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশ্ন বিক্রি-ফাঁস গুরুতর অপরাধ। প্রশ্ন পত্র গুলি আমি আমার লকারে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলাম। পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোঃ আনিচুর রহমান প্রশ্ন কী ভাবে পেলো এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে কিছু জানার থাকলে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানেন। আমি কিছু জানিনা, প্রধান শিক্ষক জানেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা বেগম জানান, রাজপাট বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি আমি জানিনা। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও আমাদের কিছুই জানান নি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সত্যতা পাওয়া গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।