আজ ২০ শে অক্টোবর রবিবার, ঠিক বিকেল চারটায়, কয়েক হাজার। নাগরিক প্রতিবাদীদের জমায়েতে, ধর্মতলা ধর্ণা মঞ্চ ও অনশন মঞ্চে সামনে , চিৎকার সমাবেশ করলেন। আজকের চিৎকার সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য, অভয়ার দোষীদের বিচার, আর যেন অভয়ার মত কাউকে এইভাবে প্রাণ দিতে না হয় তার বিচারের দাবীতে, এছাড়াও তারা ১০ দফা দাবী তুলে ধরেন । যে দাবীগুলি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
৭২ দিন ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং অনশন করছেন । আজ অনশনের ফলে অনেক জুনিয়র ডাক্তারের শারীরিক অবস্থার অবনতি আস্তে আস্তে দেখা দিয়েছে। আগামীকাল মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে জুনিয়ার ডাক্তারদের একটি টিমকে ডেকেছেন আলোচনায় বসবেন বলে । কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের প্রতিবাদ কিন্তু চালিয়ে যাচ্ছেন। তাহারা জানান আমাদের প্রতিটি দাবী যতক্ষণ না পূরণ হচ্ছে আমরা এই আন্দোলন ছাড়বো না। শুধু তাই নয় আমাদের সাথে যারা প্রথম থেকে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন , আমাদের আন্দোলনকে দৃঢ় থেকে দৃরতর করেছেন, তাদেরকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
সাধুবাদ জানাই আমাদের মা-বাবাদের, সকল নাগরিকদের, যারা রোদ জল ঝড় বৃষ্টিতে আমাদের পাশে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন, যাদের জন্য আজকে নবান্নের চৌদ্দ তলা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে আমাদের আন্দোলন আমাদের বার্তা, আমাদের কম্পন, তাই আজ আমাদের ডাক পড়েছে নবান্নের ১৪ তলায়। কিন্তু আমাদের দাবী যদি সম্পূর্ণ না করতে পারেন তাহলে ধর্নামঞ্চ চলবে এবং আমাদের আন্দোলন আরো বৃহত্তর হবে। আমরা নিজেদের জন্য লড়ছি না, আমরা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে লড়ছি ,সাধারণ রোগীদের কথা ভেবে বলে লরছি।আজ এই চিৎকার সমাবেশে, সকল নাগরিকরা তীব্র ধিক্কার জানান স্বাস্থ্য দপ্তরকে, মন্ত্রী কে, পুলিশ মন্ত্রীকে, তাহার সাথে সাথেই সমস্ত পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে, এমনকি জুতো হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ও ধিক্কার জানাতে থাকেন। জনগণ জানান যতদিন না অভয়ার বিচার হবে আমাদের আন্দোলন থামবে না আমরা ডাক্তারদের পাশে আছি। যত বিচার দেরি হবে আমাদের আন্দোলন আরো বাড়বে ও তীব্র হবে নবান্নের ১৪ তলায় ধাক্কা দেবে। সরকারের লজ্জা থাকা দরকার, আজ ডাক্তাররা অনশনে। সারা বাংলার লজ্জা। বিশ্বের কাছে লজ্জা।