মাহাবুব সুলতান, স্টাফ রিপোর্টার: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিষিদ্ধ চায়না ম্যাজিক জাল জব্দ করায় তিনজন গ্রামপুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মারধরের স্বীকার গ্রামপুলিশরা হলেন উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কর্মরত হান্নান শেখ (৫২), ৬ নং ওয়ার্ডের কর্মরত শাহাদাত খন্দকার (৫৬) এবং ৮ নং ওয়ার্ডের কর্মরত গ্রাম পুলিশ ইমন খন্দকার (২৫)।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপজেলার মধুর নাগরার কেড়ানি ব্রীজ সংলগ্ন পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রাম পুলিশরা জানান, ইউএনও এর নির্দেশে আমরা অবৈধ চায়না জাল উদ্ধার করতে গেলে মধুর নাগরা গ্রামের জিরুল্লা বাড়ির উত্তর পাশে অবস্থান কালে জাল উত্তোলনের সময় মিজানুর জিরুল্লা (৫২), আয়শা বেগম (২৫), সলেমন জিরুল্লা (৪৭) আমাদের বেধরক মারধর করে জাল ছিনিয়ে নেয় আমাদের আটকে রাখে। পরে ইউএনও স্যারকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে কোটালীপাড়া সহকারী ভূমি অফিসার (এসিল্যান্ড) প্রতীক দত্ত পুলিশ পাঠিয়ে আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিজানুর জিরুল্লা (৫২) বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে মাফ করে দেন।
আয়শা বেগম বলেন, আমি যখন দেখি আমার আব্বু মিজানুর জিরুল্লার সাথে হাতাহাতি হচ্ছে তখন আমি গিয়ে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করি। আমি কাউকে মারিনি।
অপরদিকে সলেমন জিরুল্লা জানান তিনি কারো গায়ে হাত দেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে তৎক্ষনাৎ পুলিশ গিয়ে গ্রাম পুলিশদের উদ্ধার করে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শাহীনুর আক্তার বলেন, ‘দেশী প্রজাতির মাছ রক্ষায় নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে গ্রামপুলিশরা খুবই আন্তরিক হয়ে সহযোগিতা করছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অবৈধ জাল ব্যবহারকারী আমাদের সহযোগি গ্রামপুলিশদের মারধর করেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।