শেখ তিকুমীর আকাশ
অধরের প্রান্তে এসে অন্তরের প্রেম সুধা ,
তুমি না ভালবাসিলে কেমনে মিটিবে ক্ষুধা,
দোহাই লাগে ধর মোরে, চিত্তে দাও শান্তি…
দুজনার তনু মিলিয়ে মিটাব মোরা যত কান্তি।।
আমার নয়নে নয়ন পলকে লইয়া আলোক,
মোর অন্তর হতে লইয়া যত বাসনা,
তুমি সখা গোপনে প্রেম করেছ যে রচনা…
বুঝিয়াছি অবশেষে সবই তোমারি ছলনা ।।
ওগো মানসীরূপণি মোর বাসনাবাসিনী,
তুমি আলোকবসনা উন্মত্ত নীরবভাষিণী,
বিছাইছ নির্জন গগনে কি রুপমায়াবিনী…
ললিত যৌবনখানি হেরি বসন্তের বাতাসিনী ।।
আমার সর্বাঙ্গ মন চাহে তোমার আদোলে,
সম্পূর্ণ হরণ করি লহ গো মোরে সবলে,
আমার আমারে নগ্ন করি বক্ষ ছোয়া দিয়া…
অন্তর রাখিনু রহস্য তব শুনে নিই প্রিয়া।।
মোর হৃদয়ে দিয়েছ ধরা বহু রুপে ওহে রাগিণী,
জাগায়ে তুলিয়াছ প্রাণে প্রাণ চিরস্মৃতিময়,
তাইতো মোর মনে আশা পূর্ণ জাগি রয়…
পাব কি? তোমারে ওগো প্রিয়সুভাষিনী ।।
আমিত অন্ধের মত বাসিয়া ছিলেম ভাল,
তুমি ছিলে মোর প্রথম পুষ্পফুল্ল পথের আলো,
তবে তোমার হৃদমন্দিরে গ্রহন কর মোরে …
বাজায়ে সাহানা-রাগে বংশীর সুস্বরে আদরে।।
করিও সখা গ্রহন করিও সেদিন মোরে
দু হাত ভরে না হয় স্বপ্ন কুড়ব সুখের তরে
বাসিলে না হয় একটু ভাল এই আকাশেরে…
বুকের মাঝে শক্ত করে ধরে রাখিব
তোমায় জনম জনমের তরে ।।